সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে শেষ সেশনেই গুটিয়ে গেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ২০.২ ওভারে মাত্র ৫২ রানের খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডার ধসিয়ে দেন এই অভিজ্ঞ স্পিনার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৯১ রানে। ফলে প্রথম ইনিংস শেষে জিম্বাবুয়ে পায় ৮২ রানের লিড।
দিনের শুরুটা ছিল তরুণ পেসার নাহিদ রানার দাপটের। ম্যাচের প্রথম সেশনেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই উদীয়মান বোলার। উদ্বোধনী জুটিতে ১০৩ রান যোগ করে শক্ত ভিত গড়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই জুটি ভাঙেন নাহিদ রানা নিজেই—৫৫ বলে ১৮ রান করা ওপেনার বেন কারানকে ফিরিয়ে।
পরে আরেক ওপেনার কোলিন বেনেটকেও (৫৭) শিকার করে বাংলাদেশের স্বস্তি ফেরান তিনি। এরপর তিন নম্বরে নামা নিক ওয়েলচকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ।
মাঝের সময়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন শন উইলিয়ামস ও অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। তবে ৮ রান করা এরভিনকেও ফেরান নাহিদ। দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামসের পঞ্চাশ রানের ইনিংসে কিছুটা গতি পায় দলটি। তাকে সঙ্গ দেন মাধেভেরে, যিনি ২৪ রান করে বোল্ড হন খালেদ আহমেদের বলে।
মায়াভো একটি চার মেরে দলকে লিড এনে দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর উইলিয়ামস ১০৮ বলে ৫৯ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। চা-বিরতির আগে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ২১৩ রান জমা করে জিম্বাবুয়ে।
শেষ সেশনে একাই শাসন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউ করে ৩৫ রান করা মায়াভোকে ফিরিয়ে শুরু করেন লোয়ার অর্ডার ধসানো। এরপর মাসাকাদজাকে আউট করে আরও চাপ সৃষ্টি করেন সফরকারীদের উপর।
শেষদিকে রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি শেষ চেষ্টা করেছিলেন, তবে মিরাজের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ১৭ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন মুজারাবানি। শেষ ব্যাটার ভিক্টর নিয়াউচিকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেটটি তুলে নেন মিরাজ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনটি উইকেট নেন নাহিদ রানা, আর একটি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।
জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে এখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামছে বাংলাদেশ। ৮২ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় টাইগারদের সামনে রয়েছে একটি বড় ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ, যা তাদের ম্যাচে টিকে থাকার পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করার পথ দেখাবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ