ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে শিরোপা ঘরে তুলতে লিভারপুলের প্রয়োজন ছিল মাত্র একটি পয়েন্ট। টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে হার এড়ালেই চলত অলরেডদের। তবে অ্যানফিল্ডে শিরোপা নিশ্চিত করতে কোনো ঝুঁকি নেয়নি তারা। স্পার্সের বিপক্ষে গোলবন্যা বইয়ে ৫-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে নিজেদের ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছে মার্সিসাইডের ক্লাবটি।
চার মৌসুম পর আবারও চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করল লিভারপুল। ৩৪ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৮২ পয়েন্ট, যেখানে রয়েছে ২৫টি জয়, ৭টি ড্র ও মাত্র ২টি হার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা এগিয়ে রয়েছে ১৫ পয়েন্টে। এই অর্জনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২০টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পাশে বসলো লিভারপুল।
ম্যাচের শুরুতেই চেনা মাটিতে চেনা দর্শকদের সামনে আক্রমণের ঝড় তোলে লিভারপুল। তবে প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পায়নি আর্নে স্লটের শিষ্যরা। উল্টো দ্বাদশ মিনিটে হেড থেকে দারুণ এক গোল করে লিভারপুল সমর্থকদের হতাশায় ভাসান টটেনহাম ফরোয়ার্ড ডোমিনিক সোলাঙ্কি।
প্রথম গোল হজমের পর যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে লিভারপুল। আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় তারা। ডোমিনিক সবজলাইয়ের পাস থেকে বল পেয়ে সমতায় ফেরান কলম্বিয়ান উইংগার লুইস দিয়াজ। প্রথমে অফসাইডের পতাকা উঠলেও, ভিএআরের রিপ্লের পর সেই সিদ্ধান্ত বদলে গোলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এর মাত্র দুই মিনিট পরই এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডাচ ফুটবলার কোডি গাকপো দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে তৃতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক-এলিস্টার। ফলে প্রথমার্ধে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে অলরেডরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হয় লিভারপুলকে। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠে তারা। সবজলাইয়ের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর জায়গা বানিয়ে চতুর্থ গোলটি করেন মিসরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ।
ম্যাচের শেষদিকে স্পার্সের ডিফেন্ডার ডেস্টিনি উডোগির আত্মঘাতী গোলে আসে লিভারপুলের পঞ্চম গোল। আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচ শেষে অ্যানফিল্ডের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে লাল-সোনালি রঙের আনন্দ। সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপনে মেতে ওঠে পুরো লিভারপুল শিবির।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ