ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এবারের মৌসুমে অবনমন ঠেকাতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ‘রেলিগেশন ম্যাচ’-এর সমীকরণ ছিল একদম পরিষ্কার—জিতলেই পরের মৌসুমে প্রিমিয়ারে খেলার সুযোগ, হারলেই নিচের স্তরে অবনমন।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। শুরুতেই দারুণ উদ্বোধনী জুটি গড়েন দলটির দুই ওপেনার। ২৪.৩ ওভারে তারা ১২০ রান যোগ করেন। অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান ৫০ রান করে সাতটি চারের সাহায্যে আউট হলেও অন্য ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম খেলেন ৯৭ বলে ৯৮ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় তাকে, তবে ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার মার।
মাহফিজুলের বিস্ফোরক ইনিংসের পর মিডল অর্ডারে অবদান রাখেন মিজানুর রহমান ও আইস মোল্লা। মিজানুর ৪৪ বলে ৪২ রান করেন এবং আইস মোল্লা যোগ করেন ৪৩ বলে ৪৮ রান। এই দুজনের সংযোজনেই তিনশোর কাছাকাছি সংগ্রহ দাঁড় করায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পারটেক্স ৩৭.১ ওভারে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায়। যদিও ওপেনার ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার আদিল একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান। তিনি খেলেন ৭৪ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস, যাতে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মার। মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াই করেন আহরার আমিন, তিনি ৩৩ রান যোগ করেন।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন রাকিবুল আতিক ও অলক কাপালি। রাকিবুল ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। অলক কাপালি ৮ ওভারে ৪৭ রান খরচায় নেন আরও ৩টি উইকেট। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল নেন ২টি উইকেট।
পারটেক্সের পক্ষে বল হাতে লড়াই করেছেন আলাউদ্দিন বাবু, শহিদুল ইসলাম ও ইয়াসিন মুনতাসির। তারা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পারটেক্স এবং অবশেষে তাদের ডিপিএল থেকে অবনমন ঘটে।
অবনমন ঠেকাতে একমাত্র সুযোগ ছিল এই ম্যাচেই। ব্রাদার্স ইউনিয়ন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করল। অন্যদিকে পারটেক্সকে নামতে হচ্ছে নিচের স্তরে। এই ম্যাচটি প্রমাণ করে দিয়েছে, একটি ম্যাচই পুরো মৌসুমের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে।
তথ্যসূত্র: সমকাল স্পোর্টস