ইউক্রেনে সোমবার পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে দুই দিনের জন্য সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়া এই সময় ‘ইস্টার যুদ্ধবিরতি’ পালন করবে। এটি শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বার্তায় পুতিন বলেন, “মানবিক বিবেচনায় রাশিয়া একতরফাভাবে ইস্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে। এই সময়সীমার মধ্যে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিচ্ছি।”

রাশিয়ার এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ক্রেমলিন আশা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেনও এই যুদ্ধবিরতির দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে। তবে কিয়েভ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

একইসঙ্গে বার্তায় রুশ সেনাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় শত্রুপক্ষের সম্ভাব্য উসকানি ও আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত থাকতে হবে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলে না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইস্টার সানডে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান স্মরণে পালিত হয়। এই উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী শান্তির বার্তা দেওয়া হয়ে থাকে, আর সেই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া এবারের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে এটি প্রথমবার নয় যে ইস্টার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছে। ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর কয়েক মাস পর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবিক করিডোর চালু করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে মানুষের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া।

তবে সেই সময় ইউক্রেন সম্মতি দিলেও রাশিয়া প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। মস্কোর ভাষ্য ছিল, এই বিরতি কিয়েভের জাতীয়তাবাদীদের বিশ্রামের সুযোগ করে দেবে। জাতিসংঘে রাশিয়ার উপস্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি তখন প্রস্তাবটিকে ‘কপট’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, এটি ইউক্রেনীয় সেনাদের পুনর্গঠন ও অস্ত্র সংগ্রহের সুযোগ করে দেবে।

তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ

Leave a Reply