ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এই আদেশ দেন।
রবিবার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতিকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানা এলাকায় সংঘটিত এক হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে এ ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার সকালে ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানান অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি লেখেন, “কি লজ্জার বিষয়! যারা ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে তাদের সঙ্গে এই মেয়েটির কোনো সম্পর্ক নেই।”
তিনি আরও লেখেন, “বর্তমান পরিস্থিতি এবং ব্যবস্থা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এমন দেশে বাস করি না, যেখানে ন্যায়বিচার সাধারণভাবে প্রচলিত। তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বাঁধনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনেকেই আস্থা হারাচ্ছেন। একজন তারকা অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, যা শোবিজ অঙ্গনে যেমন, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক নেটিজেন এই ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতে, সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কাউকে এভাবে অভিযুক্ত করা এবং কারাগারে পাঠানো ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার এবং কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তা বিচার ও প্রশাসনের প্রতি জনআস্থার একটি বড় পরীক্ষা হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, এই মামলার তদন্ত কতটা স্বচ্ছ হয় এবং ন্যায়বিচার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ