বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তির ইতিহাস এবং পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে দেশের মুক্তি অর্জনের পেছনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিএনপির নেত্রী রুমিন ফারহানা এ কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী যারা দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পর জাতীয় পরিচয় দিয়েছে। শহীদ জিয়ার হাত ধরেই আমরা ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে সাংবিধানিক পরিচয় পেয়েছি।
রুমিন ফারহানা বলেন, শুধু পরিচয় নয়, বিএনপি বারবার দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এক সময় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল। সেই সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল দলের জন্য রাজনীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় জন্মও তাঁর কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, রঙিন বিটিভির সূচনা সহ বিভিন্ন অগ্রগতির পেছনে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল অনন্য। রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে, সমালোচনা সহ্য করে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
আজকের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মতো পদক্ষেপ এসেছে শহীদ জিয়ার হাত ধরেই। কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস ও রেমিটেন্স – দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তিগুলো গড়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর Vision 2030-এর মাধ্যমে দেশের জন্য একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এসেছে ২৭ দফা, ৩১ দফা – যার মধ্যে রয়েছে পরিবর্তিত বাংলাদেশ ও নতুন রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা।
বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে জানান রুমিন ফারহানা। জনগণ যখন কষ্টে থাকে, তখন জিয়া পরিবারও কষ্ট পায়। জনগণের ভোটাধিকার হরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হলে, বিএনপির নেতাকর্মীরাও হয়রানির শিকার হন।
তারেক রহমান অসংখ্য মামলা, গ্রেপ্তার ও পেশাগত ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ৭৬ বছর বয়সে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া – যিনি নিজেই বাংলাদেশের আরেকটি নাম হয়ে উঠেছেন – তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এমনকি ন্যূনতম মানবাধিকার থেকেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি শুধু এখন নির্বাচন চায় না – তারা গত ১৭ বছর ধরেই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লড়াই করে আসছে। এই দাবির জন্য অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন এবং জীবন-জীবিকা হারিয়েছেন।
সবশেষে তিনি বলেন, বিএনপি সত্যিকারের গণতন্ত্রের পক্ষে একটি শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং এটাই প্রমাণ করে যে, দলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঠিক ধারক ও বাহক।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ